সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত ১০ দিন ধরে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়াও গত ৩ দিন ধরে অনেক স্থানে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
এদিকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় পানিতে ডুবে খাল বিল একাকার হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনেকের বাসাবাড়িতেও প্রবেশ করেছে পানি। এতে পানিবন্দি হয়ে আছে অনেক মানুষ। ভোগান্তিতে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা খুব কম লক্ষ্য করা গেছে। পচন ধরেছে বিভিন্ন সবজী ক্ষেতে। লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা।
এছাড়াও কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপ অনেকটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। এতে পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক কামাল হোসেন জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছি। ইতিমধ্যে এসব করলা গাছের গোরায় পানি জমে পচন ধরেছে। বৃষ্টিপাত চলমান থাকলে আমরা কৃষকরা ব্যাপক লোকসানে পড়বো।
কলাপাড়া পৌর শহরের রিকশাচালক মন্টু হোসেন জানান, বৃষ্টিতে একেবারে সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাজারে মানুষের উপস্থিতি কম। তাই গত ১০ দিন ধরে ইনকামও অনেক কমে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে উপকূলীয় এলাকায় আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।