সারা বাংলা

বগুড়ায় যানজ‌ট নিরস‌নে কাজ কর‌ছে ছাত্র-জনতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবরে গতকাল সোমবার হাজার হাজার মানুষ বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় জড়ো হয়ে উৎসব শুরু করেন। এর মধ্যে কিছু জনতা বগুড়া সদর থানা, সদর ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেন। এ ঘটনার পর থেকে সাতমাথা এলাকায় নেই যানজট নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা। ফলে বাধ্য হয়ে যানজট নিরসনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষজন।

আজ সকাল ১০টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় যানজট নির‌স‌নে লা‌ঠি হাতে কাজ ক‌রতে দেখা যায় বগুড়ার আজিজুল হক ক‌লে‌জের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইফ‌তেখার নুর প্রীতমকে। তি‌নি ব‌লেন, ‘গতকাল আমরা দেশ স্বাধীন ক‌রে‌ছি। আজ‌কে আমরা রাষ্ট্র সংস্কা‌রের কাজ কর‌ছি। গতকাল বগুড়া‌য় অ‌নেক ধর‌ণের স‌হিংসতা হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে শিক্ষার্থী ভাইদের কেউ জ‌ড়িত নন। পু‌লিশ ভাইরা আজ মা‌ঠে নেই, সে কারণে আমরা ছাত্ররা মি‌লে ক‌য়েক‌টি দল ভাগ হ‌য়ে শহ‌রের ভেত‌রে যানজট নিরস‌নে‌র চেষ্টা কর‌ছি।’ 

আব্দুল মোমিন না‌মে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকাল সা‌ড়ে ১০টার দিকে সাতমাথায় এসে‌ছি। যাবো নিউ মা‌র্কেটে। এখানে কোনো ট্রাফিক পুলিশ দেখ‌তে পাইনি। শিক্ষার্থীরা লা‌ঠি হা‌তে শহ‌রের যান চলাচ‌ল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন। এ কাজ করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছিল।’

এ বিষ‌য়ে কথা কথা বল‌তে বগুড়ার পু‌লিশ সুপার জা‌কির হাসানকে একা‌ধিকবার কল‌ করা হলেও তি‌নি ফোন রি‌সিভ ক‌রেন‌নি। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে শহর থেকে সব পুলিশ সদস্যদের বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।