সারা বাংলা

সাগরে ট্রলার ডুবে শিশুসহ ১৪ রোহিঙ্গার মৃত্যু

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে আসার সময় বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে শিশুসহ ১৪ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন। সাঁতরে তীরে আসেন ১৭ জন। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া এলাকার মধ্যবর্তী এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়। তীরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৫ জন বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় উঠেছেন। 

ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় টেকনাফে সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় টেকনাফ উপকূল থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে।

সমুদ্র থেকে সাঁতরে তীরে আসা এক রোহিঙ্গা নারী জানান, গতকাল সোমবার রাতে সাগরপথে মিয়ানমারের মংডু থেকে তারা পালিয়ে আসেন। তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। সাগরে ট্রলার ডুবির কারণে তারা ছড়িয়ে ছিটে পড়েন। সাঁতরে তীরে এসে তারা দেখতে পান দুই শিশুসহ তাদের ৫ জন আত্মীয়ের মরদেহ পড়ে আছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় অনেকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, অবগত হয়ে অনুপ্রবেশকারীদের পুশব্যাকসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।