দেশের প্রথম বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর লুট করার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গিয়ে তা প্রতিহত করেছে। পরে খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে রাজশাহীর এই জাদুঘরটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ এ জাদুঘর লুটের চেষ্টা করা হয়। তখনই শিক্ষার্থীরা গিয়ে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয়।
এরপর রাতভর শিক্ষার্থীরা জাদুঘর পাহারা দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। সেনাবাহিনী এ জাদুঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এর আগে বিকাল থেকে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে হামলা ও হরিণ লুটের কথা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। রাতভর তারা এ চিড়িয়াখানাও পাহারা দিয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক পাহারা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও সোমবার হাইটেক পার্কে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। চিড়িয়াখানার ভেতরে থাকা একটি রিসোর্টেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেখানেও লুটপাট চলেছে।
বুধবার সকাল থেকে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তাদের কয়েকটি দলকে শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের অনেক দল পাড়া-মহল্লায় রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন মানুষের নিরাপত্তার জন্য।
কেউ যাতে সহিংসতা করতে না পারে তার জন্য রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের কোনো কোনো দল মন্দির পাহারা দিয়েছেন। এসব কাজে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে।