রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের বিরুদ্ধে। সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্যরা গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কার্যালয় দখলে নেন বলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি।
সংবাদ সম্মেলনে রফিক আলী পাখি বলেন, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দায়িত্ব ছেড়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে যান। এরপর গত মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, শাখাওয়াত হোসেন রঞ্জু, গোলাম রেজা সিদ্দিকী সুনু, মুনজুর হোসেনসহ অন্যরা তাদের কার্যালয় দখল করে নিয়েছেন।
পাখি জানান, নগরীর নওদাপাড়া ও শিরোইল বাস টার্মিনালে তাদের দুটি কার্যালয় ছিল। মঙ্গলবার পরিবহন শ্রমিক দলের সদস্যরা তালা ভেঙে দুটি কার্যালয়ই দখলে নিয়েছেন। নির্বাচিত কমিটির নেতারা কার্যালয় দুটিতে গেলে সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দখলদারদের উচ্ছেদ না করলে কার্যালয়ে থাকা সংগঠনের টাকা-পয়সা লুটপাটের আশঙ্কা আছে।
পাখি বলেন, ‘মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রম অধিদপ্তরের নিবন্ধিত একটি সংগঠন। সংগঠনের সবকিছুই চলে শ্রম আইন অনুযায়ী। চাইলেই এ সংগঠন দখল করা যায় না। কারণ, আমরা নির্বাচিত কমিটি। এভাবে জোরপূর্বক আমাদের সংগঠনের কার্যালয় দখল করায় আমরা জেলা প্রশাসক এবং শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালকের কাছে আলাদা লিখিত অভিযোগ করেছি।’
দখলদারেরা দখল না ছাড়লে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শ্রমিক নেতা পাখি। এ সময় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফেরদৌস, সুলতান আলী, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও প্রচার সম্পাদক গোলাম আজম জুলমত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের কার্যালয় দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, ‘বছরে দুই ঈদ ছাড়া কোনদিন সংগঠনের অফিস বন্ধ থাকে না। সরকার পতনের পর অফিস খোলা হচ্ছিল না। তারা নিজেরাই সংগঠন ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সাহস থাকলে তারা কমিটির সবাই মিলেই অফিসে এসে বসবে।’