নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলামের নির্দেশনার পরও কাজে ফেরেননি বাগেরহাট জেলা পুলিশের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা পুলিশ লাইনসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভে পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, মো. রাসেলুর রহমান, মাসুদ রানাসহ কয়েকশত পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, অভ্যন্তরীণ ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ ১১ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। সেইসঙ্গে পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরবে না। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের উপর চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন অন্যায়ের বর্ণনা দেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিহত সকল পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করে ধর্মীয় রীতি অনুসারে দাফনের দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভ শেষে ১১ দফা দাবির সঙ্গে দুটি দাবি জানিয়ে তা পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টা অনশনের ঘোষণা দেন বাগেরহাট জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, সাত দিনের জন্য পুলিশের ইমেজ সংকট নিরসনে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষক, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী একজন ব্যক্তি, একজন সাংবাদিক ও পুলিশের একজন সাবেক আইজিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। এ ছাড়া বর্তমান যারা পুলিশ সুপার রয়েছেন, তাদের এখনই বদলি করা যাবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ কমিটি করার ঘোষণা দিতে হবে। তা না হলে পায়ে হেঁটে ঢাকায় যাত্রার ঘোষণা দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ঘোষণার পর পুলিশ লাইনসে থাকা ড্রিল শেডে অনশনে বসেন সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সাজেদুর রহমান। এ সময় তার স্ত্রী রুনা বেগমও দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর পাশে বসেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা যে নৃসংশতার শিকার হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সকল পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার করতে হবে। আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তারসঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি।’