ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া শটগান ও মোটরসাইকেল ফেরত দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি থানায় এসে একটি শটগান ও তিনটি মোটরসাইকেল ফেরত দেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে আনসার ভিডিপির ফরিদপুর জেলা কমান্ড্যান্ট নাদীরা ইয়াসমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসারের হাবিলদার আবদুল লতিফের কাছে মোটরসাইকেল ও শটগান জমা দেওয়া হয়।
ফরিদপুর জেলা কমান্ড্যান্ট নাদীরা ইয়াসমিন জানান, ফেরত দেওয়া শটগানটির গায়ে ‘কে আর জি/৪২৫২২৪২’ নম্বর লেখা রয়েছে। ফেরত দেওয়া তিনটি মোটরসাইকেল দুটির নম্বরপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। অপর মোটরসাইকেলের নম্বর রাজবাড়ী- ল-১১-৬০৮৫।
তিনি আরও জানান, সদরপুর থানায় হাবিলদার আবদুল লতিফের নেতৃত্বে ৮ জন আনসার সদস্য বর্তমানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি লুট করে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে দুইটি নছিমনে করে এনে পৌঁছে দেন।
মোটরসাইকেল ও শটগান জমা দেওয়া ব্যক্তির বরাত দিয়ে তিনি জানান, অপরিচিত এক ব্যক্তির ফোন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ শটগান আটরশি দরবার শরিফের পাশে নির্মাণাধীন দোকানঘরে একটি বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেল তিনটি সদরপুর থানায় আনসার সদস্যদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। শটগানটি ফরিদপুরের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল নাহিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, থানার কতগুলো অস্ত্র বা কতগুলো মোটরসাইকেল ছিল, তা হিসাব করে দেখতে হবে। এই মূহূর্তে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
৫ আগস্ট বিকেলের দিকে মিছিল থেকে একদল বিক্ষোভকারী সদরপুর থানায় হামলা করে। তারা থানার সামনে থাকা ইউএনও, ওসির গাড়ি ও একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কিছু পুরোনো মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল লুট করা হয়। এ ছাড়া থানার অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র-গুলি লুটের ঘটনা ঘটে।