কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম শফি (৪০) আহত হওয়ার আট দিন পর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৫ আগস্ট কয়েকজন দূর্বৃত্তের হামলায় শফিউল আলম গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর নিজ দলের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদকে দায়ী করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নিহত শফিউল আলম মৃত্যুর আগে দেওয়া একটি অডিও বার্তায় বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের ভাতিজা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল হক নাহিদের নেতৃত্বে ৩০ জন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অডিও বার্তায় তার ওপর হামলার বর্ণনা দেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর বলেন, সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের ইন্ধনে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমিও বিষয়টি শুনেছি। দলের একটি অংশ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি আমি স্পষ্ট করব।’