সারা বাংলা

হাতিয়ার সাবেক ২ এমপির বিরুদ্ধে মামলা

শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তবর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে করা আনন্দ মিছিলে হামলা ও মারধর করার অভিযোগে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী (৬৮) ও তার স্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া, মামলায় আসামি করা হয়েছে এমপির দুই ছেলে ও ভাইসহ ১৩৮ জনকে।

গত সোমবার রাতে হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মামলাটি হাতিয়া থানায় নথিভুক্ত হয়। 

মামলায় এমপি পরিবারের অন্য অসামিরা হলেন- মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক আলী অমি ও ছোট ছেলে মাহতাব আলী অদ্রি এবং ভাই হাতিয়া উপজেলা পরিষদের অপর সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন। অন্যরা সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সহযোগী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। মিছিলটি চরকৈলাশ গ্রামের ওছখালী-সাগরিয়া সড়কের এমপির পোল এলাকায় পৌঁছলে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, ভাই মাহবুব মোর্শেদ লিটন ও ছেলে আশিক আলী অমিরের নির্দেশে ও নের্তৃত্বে দুর্বৃত্তরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় মামলার বাদী আবদুল করিম, সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাছির ও হাতিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান গণিসহ অনেকে আহত হন। দুর্বৃত্তরা সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুবেল উদ্দিনের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। ফলে তার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ বলেন, মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাতিয়া উপজেলার বাসভবন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস ও তাদের বড় ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক আলী অমিকে নৌবাহিনী হেফাজতে নেয়। গত সোমবার সকালে তাদের পুলিশ ও নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল হাতিয়া থেকে জেলা সদরে নিয়ে আসে। এরপর তাদের সেনাবাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তায় সুধারাম মডেল থানায় রাখা হয়।

গত সোমবার বিকেলে থানা পুলিশ তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।