সারা বাংলা

বিস্ফোরক মামলায় সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র কারাগারে

বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের বিচারক রাজিব কুমার রায় রমেশ চন্দ্র সেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, অসুস্থ থাকায় রমেশ চন্দ্র সেনকে রিমান্ডে চাওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। 

গতকাল শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বাসিন্দা রিপন ওরুফে বাবু। এই মামলার প্রধান আসামি রমেশ চন্দ্র সেন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকে পুলিশের একটি দল রমেশ চন্দ্র সেনকে গ্রেপ্তার করে।তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং দলটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। 

রমেশ চন্দ্র সেনের স্ত্রী অঞ্জলি সেন বলেন, ‘সাদা পোশাকে পুলিশের ১০-১৫ জনের একটি দল এসে রমেশ চন্দ্র সেনকে তুলে নিয়ে যায়। তারা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য হতে পারেন। রমেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে কিছু বলেননি তারা।’

অঞ্জলি সেন আরও বলেন, ‘সবার কাছে অস্ত্র ছিল। রমেশকে তারা বলেন, ওঠেন আমাদের সঙ্গে চলেন। তারা হাত ধরে জোর করে টেনে নিয়ে চলে যায়। কোথায় নিয়ে যাবেন বারবার জিজ্ঞেস করেছি, কিন্তু তারা কিছু বলেনি।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ডিবির কিছুসংখ্যক সদস্য এসে রমেশ সেনকে ঠাকুরগাঁও নিয়ে গেছেন। ডিবির দলের সঙ্গে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ছিলেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও সদর থানার মামলায় ধারা-১৪৩/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২)/১১৪ তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ০৩ ধারা মোতাবেক ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হলে বিচারক রাজিব কুমার রায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’