কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে আব্দুস শুক্কুর (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার মেয়ে মোস্তফা খানম (২০) আহত হন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া এলাকায় পাহাড় ধস হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রবল বর্ষণের সময় পাহাড় ভেঙে মাটি পড়লে বাড়ি ভেতর বাবা ও মেয়ে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে বাবা আব্দুস শুক্কুর মারা যায়। এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) ভোরে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই মাসে জেলায় পাহাড় ধসে ২১ জনের মৃত্যু হলো।
এ দিকে লঘুচাপের প্রভাবে তিন দিন ধরে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে সাগর উপকূল উত্তাল রয়েছে। জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে আছেন লাখো মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে নির্দেশনা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) রাত থেকে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অর্ধশতাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ভোর থেকে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এতে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল কাদের গণি জানান, ঝড়ো হাওয়ায় ২০টি বিদ্যুতের খুঁটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনে কাজ করছে বিদ্যুতের কর্মীরা।
এ দিকে তিন দিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সাগর উপকূল উত্তাল রয়েছে। এর ফলে সাগরে মাছ ধরার নৌযানকে গভীর সাগর থেকে উপকূলে আশ্রয়ে আসতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।