সারা বাংলা

৯ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী

দীর্ঘ ৯ বছর কারাবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদ্য সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. আসলাম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে গতকাল সোমবার তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন আসলাম চৌধুরীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে আসলাম চৌধুরী কারাগার থেকে বের হয়ে আসলে বিএনপির শতশত নেতাকর্মী তাকে কারা ফটকে সংবর্ধনা জানান। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। পরে তাকে নিয়ে একটি গাড়ি বহর তার নিজ গ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। 

২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর)। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ১৬ মে ৫৪ ধারায় (মোসাদ কানেকশনে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের দুইজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে আনার আবেদন জানানো হয়। আদালত সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। 

সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বলা হয়, আসলাম চৌধুরী ওই বছরের ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যার কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আসামিরা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য দেশে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। পরে ওই মামলায় আসলাম চৌধুরী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পর পর বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।