কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় রাঙামাটির পর্যটন শিল্পের অন্যতম আইকন ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে গেছে। এ কারণে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতু পারাপারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই সেতুটি ডুবে গেছে। আজকে সকাল থেকে আমরা সেতুটিতে পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।’
কাপ্তাই হ্রদে আজ বিকেল ৪টার দিকে পানি ছিল ১০৬.২৪ ফুট মীনস সি লেভেল। সকালে পানি ছিল ১০৫ দশমিক ৮৪ মীনস সি লেভেল। এই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল।
হ্রদে পানি থাকায় কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পিডিবির ম্যানেজার এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, আপাতত পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।। যদি পানির লেভেল ১০৮ ফুট মীন সি লেভেল ক্রস (অতিক্রম) করে তাহলে লেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে জনগণকে অবহিত করা হবে।
তিনি আরও জানান, যদি পানি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে ৬ ঘণ্টা আগে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানাবো হবে।
এদিকে, পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানি শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্যা দুর্গতদের মধ্যে সেনাবাহিনী এবং বিএনপির নেতারা ত্রাণ বিতরণ করছেন।