সারা বাংলা

সাতক্ষীরায় অফ সিজনে ব্লাক জায়েন্ট জাতের তরমুজে সাফল্য

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় অফ সিজন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক। অসময়ে তরমুজ ফলিয়ে বিক্রিও শুরু করেছেন তারা। এসব তরমুজ তারা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

আশাশুনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কৃষি বিভাগ এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে এই প্রথম বারের মতো অফ সিজন তরমুজ (উচ্চমূল্য ফসল প্রদর্শনী) চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুই থেকে তিন মাসেই এই তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।

কুল্যার কৃষক মেহদী হাসান ৫০ শতক জমিতে এই ব্লাক জায়েন্ট জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ চাষাবাদে তার সর্ব সাকুল্যে খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে তিনি চাষাবাদ করেন। এই তরমুজের আশাপ্রদ ফলন পেয়ে তিনি লাভবান হয়েছেন।

তরমুজ চাষি মেহদী হাসান জানান, অসময়ে তরমুজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার আশায় বুক বেঁধে কাজ করেছি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে তরমুজ উঠাতে পেরে এবং লাভের মুখ দেখতে পেয়ে দম ছেড়ে শান্তি পেয়েছি। প্রথম চালানে আমি ক্ষেত থেকে ১২শ কেজি তরমুজ উঠাই। প্রত্যেকটি তরমুজ ৫-৭ কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ৪০ টাকা কেজি দরে ক্ষেত থেকে পাইকারি হিসেবে তরমুজ বিক্রয় করে ৪৮ হাজার টাকা পেয়েছি। এতে আমার খরচ উঠে ২৩ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। ক্ষেতে এখনও যে ফল আছে তা বিক্রয় করে অন্ততঃ আরও ৫০/৬০ হাজার টাকা পাবো ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, তরমুজ চাষে নেওয়া হয়েছে মালচিং ও অর্গানিক পদ্ধতি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে রোগ বালাই দমন করে ভালভাবে চাষ করতে পারায় আমি লাভবান হতে পেরেছি। অসময়ে বড়বড় তরমুজ, দেখতে সুন্দর ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এই তরমুজের চাহিদাও ভালো।

আশঅশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, এখানকার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে এবছর আশাশুনিতে এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় এবারই প্রথম অফ সিজন তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেই। এবছর প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে অফ সিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, প্রথম চাষের কারণে খরচ একটু বেশী হয়ে থাকে। সে তুলনায় কৃষকরা তরমুজ বিক্রয় করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে খরচ আরও কমে আসবে। তখন লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে। দাম ভালো পাওয়ায় ক্রমান্বয়ে চাষের পরিধি বাড়ছে। আগামীতে আরো বাড়তে বলে আশাবাদী তিনি।