প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বাড়লেও চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বাবুরহাটে রাসেল বরকন্দাজ এখনও পরিবেশবান্ধব বাঁশ-বেত পণ্যের ব্যবসা ধরে রেখেছেন। পারিবারিক সূত্রে জড়িয়ে পড়া এ ব্যবসা ঘিরেই তার পথচলা।
বাবুরহাট বাজারে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বাঁশ-বেত পণ্যের পসরা সাজানো রাসেলের দোকান।
রাসেল বরকন্দাজ হাইমচরের উত্তর আলগী ইউনিয়নের ছোট লক্ষীপুরের বাসিন্দা। ব্যবসায়িক সূত্রে তাকে এখন এ শহরে থাকতে হয়। দুই যুগেরও বেশি সময় তিনি পারিবারিকভাবে বাঁশ-বেত পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
রাসেল বলেন, এক সময় বাঁশ-বেত পণ্যের চাহিদা থাকলেও এখন তেমন নেই। তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ পণ্য কিনে এনে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন। শীতের সময়, ধানের এবং আলুর মৌসুমে তার বেচাকেনা ভালো হয়।
বাবুরহাটে রাসেলের দোকানে বাঁশের খাচি ১২০ টাকা, ওরা ১৩০ টাকা, কুলা ১৩০ টাকা, মাটির কাজে ব্যবহারের ওরা ১৫০ টাকা, বালু ও ইটের কনা টানার ওরা ১২০ টাকা, জেলখানা নামক হাঁসের খাচি ১৫০ টাকা, চালুন ১৪০ টাকা, দুলা চাঁই ৮০ টাকা, বৈচুনি চাঁই ১৫০ টাকা, খাদেম চাঁই ২৫০ টাকা, ফারম চাঁই ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
রাসেলের মতো বাবুরহাটে বাঁশ-বেতের পণ্যের ব্যবসা করছেন তার ভাই জসীম শেখ। স্থানীয় শেখ বাড়ির বাসিন্দা জসীম এক যুগ ধরে এ ব্যবসা করছেন।
জসীম শেখ বলেন, মূলত কচুয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পাশের জেলা কুমিল্লার বেশ কিছু স্থান থেকে বাঁশ-বেতের পণ্য বিক্রি করতে নিয়ে আসেন কারিগরেরা। তিনি তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে দোকানে বিক্রি করেন। কখনও কখনও বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কিনে আনেন। তিনি সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করেন।
জসীম শেখ আরও বলেন, তার দোকানে পল্লা ৩০০ টাকা, হাতলা ৩০০ টাকা, গরুর মুখা ৮০ টাকা, হোগলা ৮০ টাকা এবং তাল গাছের হাতপাখা ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ যদি অগ্রিম অর্ডার দেন তাহলেও সেই হিসাবে পণ্য তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।