সারা বাংলা

কুমিল্লায় পানিতে ডুবছে নতুন নতুন এলাকা

কুমিল্লায় গোমতী নদীর ভাঙন এলাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের পিতাম্বর গ্রাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশে গ্রামটির অবস্থান। রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এই গ্রামে উঠতে শুরু করে বন্যার পানি। সহায়-সম্বল যে যতোটুকু পেরেছেন তাই নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন রেললাইনে। অনেকেই গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

পাতাম্বর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, একদিন আগেও এখানে পানি ছিল না। এখন ঘরের ভেতর পানি উঠেছে। 

এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। এরই মধ্যে গোমতীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে বুড়িচং উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বানের পানি ঢুকে পড়েছে পাশের ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলার কিছু গ্রামেও।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ১২৩টি ইউনিয়নের ৮ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে, গোমতীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শুধু বুড়িচং উপজেলায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৭৪২টি। বুড়িচং উপজেলায় রয়েছে ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী বলেন, ‌‘দুর্গত এলাকার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। নৌযান সংকটের কারণে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান জানান, ‘আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।’