জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়ের আবু হান্নান, হাবিবুর রহমান ও আব্দুল ওয়াদুদসহ তিন কর্মচারীকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করেছে নার্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসৎ, দুর্নীতি পরায়নতা, ঘুষ, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে তাদের অপসারণ চান নার্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। সকল নার্সিং কর্মকর্তা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। এ সময় তারা এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।
ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক লাইলী বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স শামছুন নাহার, ফার্মাসিস্ট মো. মোবারক হোসেনসহ আরও অনেকে।
এ সময় বক্তরা বলেন, হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আবু হান্নান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হাবিবুর রহমান ও স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুল ওয়াদুদ মিলে একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। এদের মধ্যে আবু হান্নান ও হাবিবুর রহমান সহোদর দুই ভাই। এই তিন জনই অসৎ ও দুর্নীতিবাজ। নার্স ও কর্মচারীদের ছুটির অনুমোদন, সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সময়, নার্স-কর্মচারী বদলী, যোগদানের ক্ষেত্রে তাদেরকে ঘুষ দেওয়া ছাড়া কাজ করেন না চক্রটি।
এভাবে নানা অনিয়ম করে তারা তিনজনই গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়, হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। এমন দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের অপসারণের দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় তারা টানা কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অভিযুক্ত আবু হান্নান বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে আমার বদলি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। আমি আর ওই হাসপাতালে থাকব না। আমি নিজেই বদলির জন্য চেষ্টা করছি।’
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘তিন জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’