সারা বাংলা

পদত্যাগের ৮ দিনের মাথায় বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টোরিয়াল বডি ফের স্বপদে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছিলো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর প্রক্টোরিয়াল বডি। কিন্তু ৮ দিনের মাথায় সেই শিক্ষার্থীদেরই দাবির মুখে পুনরায় স্বপদে ফিরেছেন তারা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) স্বপদে ফিরে এসেছেন প্রক্টোরিয়াল বডি। তাদের ফিরে আসা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। এসময় তারা প্রক্টোরিয়াল বডিকে স্বপদে ফিরে আসার অনুরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।  শিক্ষার্থীরা ‘প্রক্টরের পদত্যাগ মানছি না মানবো না’, ‘কাম ব্যাক প্রক্টর, প্রক্টর কাম ব্যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামানসহ প্রক্টোরিয়াল বডি। পরে তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে কাজে যোগদান করেন।

প্রক্টোরিয়াল বডি স্বপদে ফিরে আসার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী। তারা বলেন, এতদিন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম। আজকে আমাদের অভিভাবকরা পুনরায় ফিরে এসেছে, এতে আমরা অনেক বেশি আনন্দিত। 

আন্দোলনে উপস্থিত বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত খান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জায়গায় সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। এখানে আমাদের ১৫ দফা দাবি ছিলো। এই ১৫ দফার মধ্যে প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ ছিলো না। কিন্তু গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হঠাৎ করে এসে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে। উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের পর প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা ছিলো। প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগের পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করি। শিক্ষার্থীরা নানানরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে। সেজন্য আমরা প্রক্টোরিয়াল বডিকে পুনরায় স্বপদে ফিরিয়ে আনতে আমরা অন্দোলন শুরু করি।

প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের ভালো চেয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধেই কিছু শিক্ষার্থী কথা বলেছে। সেজন্য আমি প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যেহেতু আমাকে চায় সেজন্য আমিসহ আমার পুরো প্রক্টোরিয়াল বডি স্বপদে ফিরে এসেছি। আজকে থেকে আমরা পুনরায় দায়িত্ব পালন করবো। 

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার সন্তান। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। আমি তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। আজকের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় যেন আইডি কার্ড নিয়ে আসে, সে বিষয়ে তাদেরকে অনুরোধ জানান প্রক্টর।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ভাইস চ্যন্সেলর অধ্যাপক ড.এ.কিউ.এম মাহবুব ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামচুল আলম পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ করেছিলো।