সারা বাংলা

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে ২ মামলা

ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনের সাবেক এমপি, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম খালিদ বাবু, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী, ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই হাজারের অধিক নেতাকর্মীর নামে মুক্তাগাছা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে ১নং আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহমেদ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে সাবেক পৌর মেয়র মুক্তাগাছা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ বাদী হয়ে একটি ও ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অপর মামলা করেন। দুটি মামলায় মিলে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও বাকি দুই হাজার জনকে অজ্ঞাত করে মোট ২১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম শহীদ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদকে ১নং আসামি করে সাবেক মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুল হক ইদু, তার ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক যদুসহ ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন রাতে বাদীর বাড়ির সামনে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে তারা বাদীর বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

একই তারিখে উপজেলার ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। সেখানেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, তার জামাতা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরব আলী, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ ৯২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা মুক্তাগাছা বড়হিস্যা বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের দুই তলায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহমেদ জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, সাবেক পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা হয়। শহরের ঈশ্বর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন বাদী হয়ে পৌর মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে বিল্লাল হোসেন সরকারকে একক আসামি করে মামলা করা হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সংস্কৃতিপ্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সাবেক পৌর বিল্লাল হোসেন সরকার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলীসহ ক্ষমতার অপব্যবহারকারী আওয়ামী লীগ নেতারা গা ঢাকা দিয়ে আছেন।