ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সাহেবের ঘাট সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি নদীতে ধসে পড়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সেতুর ওপর দিয়ে সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জের মধ্যে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ আগস্ট) গর্তের সৃষ্টি হয়। এর আগে, সেখানে ছোট গর্ত দেখতে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক বছর ধরে ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সাহেবের ঘাট সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। এছাড়া এবারের বন্যায় পানির চাপে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক দেবে গিয়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে সেতুটি নদীতে বিলীন হওয়ার শঙ্কা করছেন তারা।
সেতুর পশ্চিমে পাশের দোকানী শাহাজান জানান, ‘আগস্ট মাসের প্রথম সাপ্তাহে সেতুর পশ্চিম পাশের উত্তর অংশে ছোট একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। সেসময় কয়েকজন কর্মকর্তা এসে দেখে গেলেও সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা করেননি। এরপর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে একই স্থানের দক্ষিণ অংশের সিমেন্টের প্রলেপ মাটিসহ সরে নদীতে ভেঙে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সকালে দুই উপজেলার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে এই অংশে বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলে চলে যান। গতকাল শুক্রবার রাতে সেতুর সংযোগ সড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়।
পুরাতন সওদাগর হাটের বাসিন্দা খুরশিদ আলম রুবেল জানান, তাদের বাড়ি সেতুর পাশেই। অনেক বছর ধরেই তিনিসহ স্থানীয় লোকজন দেখছেন চরছান্দিয়ার আবদুর রাজ্জাক সেন্টু মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা সেতুর কাছাকাছি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। শুকনো মৌসুমে দেখা যেতো, সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ এবারের ভারী বৃষ্টি এবং বন্যার পানির চাপে সেতুর পশ্চিম অংশের সংযোগ সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে সেতু সংস্কার শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার বলেন, ‘নদীর পানি মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত না হয়ে একপাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অর্থাৎ নোয়াখালীর অংশ পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানির স্রোতের কারণে সংযোগ সড়কের নিচে থেকে মাটি সরে গেছে। আমাদের বিভাগে সিমেন্টের ব্লক না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্লকের পরিবর্তে জিও ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে।’