বাগেরহাটে ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা সিডিসি (কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থী শেখ আমানুল্লাহ রাকিব, কামরুজ্জামান সিয়াম, মিরাজ আহমেদ শিহাব, প্রিন্স হাওলাদার, ইরফান, ধীরব চন্দ্র বর্মন, মো. অনন্ত, ইমরুল হাসান অপুসহ ইনস্টিটিউটের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী শেখ আমানুল্লাহ রাকিব বলেন, ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন নানা তালবাহানা করে ২০১০ সাল থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের সিডিসি বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে দেশের হাজার হাজার ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বেকার হয়ে পড়ছেন। হতাশার জীবন যাপন করছেন তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রথম সারির শিক্ষার্থীরাই ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়। শুধুমাত্র সিডিসির অভাবে তারা বিদেশি জাহাজে চাকরি করতে পারেন না। যদি বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজে চাকনি করতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীরা মেরিন ডিপ্লোমা পড়ে কী করবে? আমরা চাই অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে সিডিসি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের মূল্যায়ন করা হোক।’
শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান সিয়াম বলেন, ‘১৯৮৮ সাল থেকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের সিডিসি দেওয়া হত। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা বিদেশি জাহাজে সুনামের সঙ্গেই চাকরি করছিলেন। তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের সিডিসি বন্ধ করে দিয়েছে। অতিদ্রুত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের সিডিসি প্রদান করতে হবে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ইনস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।