টানা ৬ দফায় দায়িত্ব পালনকারী চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে । বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজের পক্ষে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ওয়াসার এমডিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি ১৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেন নেতরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন এবং চট্টগ্রাম নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের খুব আপনজনদের একজন আপনি (ফজলুল্লাহ)। সুতরাং আমরা চাই স্বৈরশাসকের অনুসারীরা এ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে না। তাই দ্রুত চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করুন।’
আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘আমি সরকার নিযুক্ত লোক। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না। আজকে মানুষদের কথায় চলে গেলাম। তখন সরকার আমার থেকে জানতে চাইবে আমি গেলাম কেন?’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসায় আমার কোন দুর্নীতি নেই। এখানে দুদক ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে তদন্ত করেছে। দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান এ কে এম ফজলুল্লাহ । পরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৮ সালে অবসর নেন। চাকরি জীবনে অনিয়মে জড়িয়ে হয়েছিলেন বহিষ্কার। পরবর্তীতে একটি কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়ে জড়ান অর্থ আত্মসাতে। দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবে খাটিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড গঠন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ তৈরি হলে প্রথম দফায় তিন মাসের জন্য এমডির দায়িত্ব পান তিনি। পরে পাঁচ দফায় পুনর্নিয়োগে গত ১৩ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করেছেন কে এম ফজলুল্লাহ।