বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের নাগেরবাজার এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সরদার বদিউজ্জামান বদির বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১৯ রাউন্ড গুলি জব্দ হয়। সরদার বদিউজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, জব্দ করা বন্দুকটি লাইসেন্স করা।
পুলিশ জানিয়েছে, সরদার বদিউজ্জামানের ছেলে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের সাবেক ভিপি সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমানের কক্ষ থেকে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও শিক্ষার্থীদের নাম লিখে পিন মেরে রাখা টাকা জব্দ করে পুলিশ। কলেজ সংক্রান্ত একটি ব্যাংক চেকের বই উদ্ধার হয়। চেক বইটির কয়েকটি পাতায় স্বাক্ষরও ছিল শিক্ষকদের। কলেজের বিভিন্ন খাতে টাকা আদায়ের কিছু রশিদও জব্দ হয়।
অভিযানের সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সরদার বদিউজ্জামান বদি, তার বড় ছেলে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমান, মেজো ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আরমান সরদার ও ছোট ছেলে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার নাহিয়ান আল সুলতান ওশান বাড়িতে ছিলেন না। তারা কোথায় আছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে, একই এলাকায় মো. সোহেল ওরফে কালা সোহেলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম জব্দ করে তারা। এসময় কালা সোহেল বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা কালা সোহেল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আনারুল হত্যা মামলার আসামি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিনে আওয়ামী লীগের নেতার বাসা থেকে একটি বন্দুক ও ১৯ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। তবে বন্দুকের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে সরকারি পিসি কলেজের সাবেক ভিপি নোমানের কক্ষ থেকে বেশকিছু কাগজপত্র ও টাকা জব্দ করা হয়েছে। নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা কালা সোহেলের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম জব্দ হয়েছে। কালা সোহেলের নামে হত্যা মামলা রয়েছে।