কক্সবাজারে সমুদ্রের মাছ আহরণের ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের রেকর্ড ভেঙেছে। ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে বন্যাসহ বৈরি আবহাওয়ার কারণে জেলেরা নিয়মিত সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারেনি। এরপরও গত বছরের চেয়ে এ বছর আগস্ট মাসে প্রায় ৫০ টন বেশি মাছ আহরণ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকায় সমুদ্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়, ফলে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে।
জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মাছ ধরার উপর ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে আগস্টে মাছ আহরণ হয়ে ৬৫৯ টন। আর এ বছর (২০২৪ সালের) আগস্টে আহরণ হয়েছে ৭০৮ টনের চেয়ে বেশি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ টন বেশি।
এদিকে, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বেশি আসলেও বাড়তি দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনতে হচ্ছে। এছাড়া পরিবহণ ও শ্রমিক খরচসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বলে মাছের দাম বাড়ার কারণ জানান তারা।
ট্রলার মালিক শফি উল্লাহ বলেন, সাগরে ট্রলার পাঠাতে অনেক টাকার রসদ লাগে। তেলের দাম বেশি। এছাড়া চোরাই পথে ইলিশ পাচারসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণ মাছের দাম বাড়তি রয়েছে।
জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম রাব্বানী বলেন, অবতরণ কেন্দ্রে রূপচাঁদাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের দাম কমে আসলেও এখনও তুলনামূলকভাবে বাড়তি রয়েছে ইলিশের দাম। এ নিয়ে ইলিশের বাজারে গুঞ্জন রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে এমনটা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নানা প্রতিকূলতার মাঝেও এ বছরের আগস্টে ৫০ টন বেশি মাছ অবতরণ হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ পরিমাণ বাড়বে।