সারা বাংলা

বন্যা পরিস্থিতি: লক্ষ্মীপুরে ১৫ দিন ধরে মসজিদে জামাত বন্ধ

বন্যার পানিতে ডুবে যায় লক্ষ্মীপুরের রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। শতাধিক টিনশেড ও পাকা মসজিদের ভেতর বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় নিয়মিত আজান হলেও বন্ধ ছিলো জামাতে নামাজ আদায়। এখনো অনেক মসজিদে পানি জমে রয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্যা কবলিত সদর উপজেলার পশ্চিম দিঘলী, পূর্ব দিঘলী ও দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের হাজী আকবর জামে মসজিদের ভেতর প্রায় হাঁটু পরিমাণ বন্যার পানি ছিল। ১৫ দিন ধরে মসজিদে নিয়মিত আজান হলেও পানির কারণে নামাজ পড়া যায়নি। এ মসজিদে দুই জুমার নামাজ পড়তে পারেননি কেউ। পানি কমায় গত জুমার নামাজ মসজিদের বাইরে পড়তে হয়েছে। এখনো মসজিদের বারান্দা পানিতে ডুবে আছে।’

চরশাহীর নুরুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা দুইটা ইউনিয়নের বর্ডার এলাকার বাসিন্দা। আমাদের বাড়ির চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। আমাদের সমাজের মসজিদটি (হাজী আকবর জামে মসজিদ) ভেতরে এক হাঁটু পানি ছিল। ১৫ দিন আমাদের মসজিদটিতে নামাজ পড়া সম্ভব হয়নি।’ 

পশ্চিম দিঘলী গ্রামের মনির আহমেদ বলেন, ‘আমি ওবায়দুল্লাহ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছি। মসজিদটি উঁচু স্থানেই আছে। তবে মসজিদের সামনে হাঁটুর ওপরে পানি ছিল। দরজার সামনে ইট দিয়ে গাঁথনি করায় মসজিদে পানি ঢুকতে পারেনি। এতো পানি কখনো দেখিনি।’

মধ্যম দিঘলী আল মদিনা জামে মসজিদের পাঞ্জেগানা ঈমাম মাওলানা নুর আলম বলেন, ‘মসজিদের নিচতলায় হাটু পরিমাণ পানি। দোতলায় নামাজ পড়া যায়। তবে কলার ভেলা ছাড়া যাওয়া যায় না। মুসল্লি দুই-তিনজনের বেশি হয় না। মানুষের বাড়ির উঠানে এখনো কোমড়ের ওপরে পানি আছে। অধিকাংশ মানুষই আশ্রয়কেন্দ্রে আছে।’