সারা বাংলা

স্কুলের অফিস সহকারীর চাকরিচ্যুতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রজব আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার চাকরিচ্যুতির দাবিতে চলছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে রজব আলীকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে গত দুদিন ধরে ক্লাস বর্জন করছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ- চলতি বছরের আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়েন অফিস সহকারী রজব আলী। তারপর থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রজবকে  বিদ্যালয় থেকে অপসারণের দাবি তোলে। গত ৩ সেপ্টেম্বর মাইনুল ইসলাম নামে একব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে বিদ্যালয়ে তদন্তে এসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান তিনি। ফলে রজব আলীকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে গত রোববার ও সোমবার রজব আলীকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে ক্লাস বর্জন করছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা তাদের আশ্বস্ত করলেও ক্লাসে ফেরেনি তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- রজব আলী চাকরি হয় শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে। তার চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। ফলে এই বিদ্যালয় থেকে যতদিন না রজবকে সরানো হচ্ছে, ঠিক ততোদিন তারা ক্লাস বর্জন করবে।

এদিকে রজব আলীর অপসারণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণে মাইনুল ইসলামের বাড়িতে হামলাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে রজব আলীর লোকজন। জানতে চাইলে মাইনুল বলেন, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য রজবের পক্ষের লোকজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারা বাড়িতে হামলার কথা বলেছে।

তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রজব আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. শাহজাহান আলি বলেন, রজব আলীর বিরুদ্ধে উপজেলায় নারী কেলেঙ্কারির একটি অভিযোগ করা হয়। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা এসে তদন্ত করেছেন। রজব আলীকে চাকরিচ্যুতের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত দুদিন ধরে ক্লাস বর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।

গোমস্তাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলি বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের সঙ্গে কথা বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে রজব আলীকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।