পাবনার চাটমোহরে টিসিবি’র পণ্যের কার্ডের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় অন্তত পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদে ঘটনা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ারা হলেন- চাটমোহর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বোঁথর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল হক ও পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য সম্প্রতি ৫১১টি টিসিবির কার্ড (সংশোধনী) বরাদ্দ হয়। কার্ডের তালিকা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়। এই তালিকা নিয়ে পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন আলী এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম তারেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে আজ সকালে দুই পক্ষই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে যান। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাঁচ জন আহত হন। গুরুতর দুই জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম তারেক বলেন, ‘তালিকা নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় সে কারণে ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং করে তালিকা দেওয়া হয়েছে। সাবেক সভাপতি মহসিন আলী ও তার কতিপয় লোকজন আমার নামে অশ্লীল ভাষায় স্লোগান দেন। পরবর্তীতে তারা ঝামেলা শুরু করেন।’
পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন আলী বলেন, ‘টিসিবির কার্ডের তালিকা রবিউল করিম তারেক এককভাবে দিয়েছেন। ইউনিয়নের প্রত্যেকটা জায়গাতেই সভাপতির কিছু লোক থাকে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। ইউএনও মহোদয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের জন্য বন্টন করে দেন। তবে সেটা মানেননি তিনি (রবিউল করিম তারেক)। দলের সাবেক সভাপতি হিসেবে যদি কিছু না-ই পাই তাহলে তো সমস্যা। হুট করে তিনি (তারেক) লোকজন নিয়ে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করেন।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা দলের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র বা জেলা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম জানান, ‘টিসিবি’র পণ্য সরকারি নিয়ম মেনে যাদের পাওয়ার কথা শুধু তারাই পাবেন। আমরা কাছে কোনো তালিকা পাইনি। আমার সরকারি নির্দেশের একচুলও অমান্য করবো না। নিয়ম মেনেই সব কিছু চলবে।’