সারা বাংলা

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিসহ আহত ৩৫

গোপালগঞ্জে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, তিন জনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ও তিন জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষ হওয়ার পর সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তাদের কর্মীরা। সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে গাড়ি বহর থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়তে শুরু করে দলটির কর্মীরা। এসময় স্থানীয়দের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী রওশন আরা রত্নাসহ ৩৫ জন আহত হন। 

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বোদগ্রামের পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস. এম, জিলানীর বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা। এসময় গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেলিন বলেন, ‌‘টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। এসএম জিলানী ও তার স্ত্রী রওশন আরা রত্নাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।’

গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেক নেতা আহত হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানীকে উন্নত চিকিতসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।