ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ ও সহিংসতার জেরে নয়টি মামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন পোশাক কারখানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে করা এ মামলায় অন্তত ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় এ সব মামলা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেডের পক্ষে একটি মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর আলম। এতে ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে প্রায় ২০০ বহিরাগত লোক ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টসে এসে হামলা করে। তারা কারখানার প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় কারখানার নিরাপত্তা প্রধান আবুল কাশেম ঠাকুর, সুপারভাইজার আব্দুস সাত্তার, নিরাপত্তা প্রহরী তুলা মিয়া, মাসুদুর রহমান, সুলতান, ব্যবস্থাপক (প্ল্যানিং) আব্দুল হামিদ, স্টোর ইনচার্জ সোলাইমান, স্যাম্পল ম্যানেজার মো. মশিউরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বাধা দিলেও তাদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা।
হামলাকারীরা কারখানা থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, সিসি ক্যামেরাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির টহল টিম ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মামলাগুলোর তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ ও সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় মামলাগুলো করেছেন। এসব মামলায় প্রায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করাসহ সহস্রাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।