সারা বাংলা

বৃষ্টিতে প্লাবিত বাগেরহাট, দুর্ভোগ চরমে

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে পৌর শহরের বেশিরভাগ এলাকার সড়কে পানি উঠেছে।  জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ম আয়ের মানুষ।

অন্যদিকে, জেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, গোবরদিয়া এলাকা, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

আমিনুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ‌‘দুই দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে শহরের প্রায় সবগুলো সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শহরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই এভাবে তলিয়ে যায়। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

আমলাপাড়ার সড়কে বাসিন্ধা মৌমিতা বলেন, ‘ঘরে পানি ওঠায় গতকাল শনিবার রাত থেকে রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। শুকনো খাবার খেতে হয়েছে। এখন বাবার বাড়ি যাচ্ছি, এখানে থাকার পরিবেশ নেই।’

বাগেরহাট শহরের রিকশা চালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। আজ সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে সড়কে নেমেছি। রাস্তাগুলো গর্ত হয়ে গেছে, পানিতে পাকা সড়কে গর্ত দেখা যায় না। লোকজন নেই, তারপরও দুই চার জন যাত্রী পাচ্ছি। তাদের বহনকরে যে টাকা ভাড়া পাবো তা দিয়েই সংসার চালাতে হবে।’

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ‘বাগেরহাটের পশুর নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে যাদি বৃষ্টি অব্যাহত থাক তাহলে নদীর পানি আরও বৃদ্বির সম্ভবনা রয়েছে।’