সারা বাংলা

সাঁথিয়ার সাবেক দুই মেয়র ও ১১ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক দুই মেয়র, সাবেক ১১ কাউন্সিলর ও পৌরসভার ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনায় মামলাটি হয়। মামলার বাদী দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন। মামলায় ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক (৫৮), সাবেক মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু (৪৮), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন খান (৫৪), বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান (৫৩), হিসাবরক্ষক আব্দুল বারিক (৪৯), কার্য-সহকারী আবু ইছা শফিউল আলম (৪৭), প্রধান সহকারী  নুরুজ্জামান (৪৩) ও এম.এল.এস.এস নুরুল ইসলামকে (৪৬) আসামি করা হয়েছে।

কাউন্সিলরদের মধ্যে অভিযুক্তরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদ আলী (৫২), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দীন (৩৩), একই ওয়ার্ডের দুই সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম (৪৪) ও আব্দুল হাই (৬৫), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আফছার আলী (৬৮), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোছাদ্দেক হোসেন নাসিম (৪৩), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ ব্যাপারী (৬৬), একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ (৬২), ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর বুলবুলি খাতুন (৫৫), ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাসিনা খাতুন (৪৭) এবং ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জীবন নাহার (৬০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সাঁথিয়া পৌরসভার অনুকূলে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ডেঙ্গু মশক নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার এবং করোনা মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১১ লাখ ৩ হাজার ৮৬৭ টাকা এবং ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১১ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকা অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল-ভাউচার ও কোটেশন তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে সাঁথিয়া পৌরসভার কোনো জিপ গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি ব্যয়ের জন্য বিল তুলে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা এবং সাঁথিয়া পৌরসভার ড্রেন পরিষ্কারের নামে ভুয়া বিল ভাউচার প্রস্তুত করে ২ লাখ ৭২ হাজার ১৫০ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সবমিলিয়ে তারা ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৫৩৩ টাকা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল-ভাউচার ও কোটেশন সৃজন করে বিল তুলে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তাদের (অভিযুক্ত) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা  করা হয়েছে। পরবর্তীতে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।’