সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে কালজানি নদীর ভাঙন রোধের চেষ্টা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে কালজানি নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তুা কিনে তাতে বালু ভরে নদীতে ফেলতে শুরু করেছেন। এ কাজে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, বারবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান পাননি তারা।  

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন গ্রামবাসী। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্লাস্টিকের বস্তুায় বালু ভরছিলেন, কেউ কেউ বালু ভর্তি বস্তা ভাঙনের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্যরা সেই বস্তা নদীতে ফেলার কাজ করছিলেন। তাদের একটাই উদ্দেশ্য কালজানি নদীতে বিলীন হওয়া থেকে বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষা করা। 

স্থানীয়রা জানান, গত চার মাস ধরে ধলডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত কালজানি নদীতে ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক বাড়ি ও একরের পর একর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙন কবলিতরা জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। তাই নিজেদের অর্থ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন তারা।

ধলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মোমেন মিয়া বলেন, ‘ভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হই আমরা। এ কারণে আমরা নিজেরাই কাজ করছি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তুা কিনে বালু ভরে নদীতে ফেলছি। তার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।’

মনছের নামে অপর বাসিন্দা বলেন, ‘নিজেদের বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য আমরা নিজেরাই চেষ্টা করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বস্তা দিলে ভালো হত।’

তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, ‘প্রায় চার মাস ধরে কালজানি নদী ভাঙছে। বাড়ি-ঘর নদের বিলীন হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না হলে সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খেটে খাওয়া সীমান্তবাসীর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান নদ-নদীতে ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানান, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা।