সারা বাংলা

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি ১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকার 

লক্ষ্মীপুরে চলমান বন্যায় ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, কৃষি, মৎস্য খাত ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

সূত্র জানায়, জেলার ৫টি উপজেলায় বসবাসরত ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬২ জন মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে। 

বন্যায় ২৮ হাজার ৬১৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৯৯ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ডুবে ২ হাজার ৭৪৬ কিলোমিটার কাঁচা, পাকা রাস্তা নষ্ট হয়েছে। ফলে ৩০১ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ১৯৬টি ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১৩ কোটি টাকার ক্ষতি।

এদিকে কৃষি বিভাগে ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে ৬৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য বিভাগের ৩৭ হাজার ৭৬টি পুকুর ও জলাশয় ভেসে গেছে। এতে ২৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের। এছাড়া প্রাণী সম্পদের ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

অন্যদিকে ১৩৪টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ১০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ১৩২ হেক্টর বনাঞ্চলের বনায়নে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার। ১৩.৮৭ কিলোমিটার নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে পানিতে ডুবে ১২ হাজার ৯৮৪টি নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৩১ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ২৯ হাজার ৩৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ২৯ কোটি ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৩টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৪০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া হ্যাচারিতে ১ হাজার ৩৭০ হেক্টরে ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ১ হাজার ৪৭৬ কোটি  ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। 

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুষমভাবে বণ্টন করা হবে। 

তিনি জানান, ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া সার, বীজ ও নগদ অর্থ জেলার ৫টি উপজেলা ৬ হাজার কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।