তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার ‘সিএইচটি ব্লকেড’ এর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে রাঙামাটিতে পরিবহন ভাঙচুর এবং চালকদের মারধরের প্রতিবাদে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দূর পাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরেও সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে শহরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সড়কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
পরিবহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে রাঙামাটি পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আজ সকাল থেকে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রদান করা হয়। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলায় তাদের ১০টি ট্রাক, ৩টি বাস এবং অসংখ্য অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে ৭জন চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধরে মামুন নামে একজন নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের ৫৩জন আহত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারী করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।