রাঙামাটিতে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টাদের সাথে স্থানীয় নেতাদের বৈঠক শুরু হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাঙামাটি রিজিয়নের প্রান্তিক হলে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শওকত ওসমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত আছেন।
এদিকে রাঙামাটিতে পরিবহন ভাঙচুর এবং চালকদের মারধরের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট গন্তব্য থেকে দূরপাল্লার কোন যান ছেড়ে যায়নি। শহরেও সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনার জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পাহাড়িরাও আজ সকাল থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে তিন পার্বত্য জেলার সড়ক ও নৌপথে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে রাঙামাটিতে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের ৫৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গাড়ী ভাঙচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি শহরে এখনো ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।