রাঙামাটিতে হামলায় পরিবহন ভাঙচুর ও চালকদের মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে চলাচলের প্রধান মাধ্যম সিএনজিচালিত অটোরিকশাও বন্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট গন্তব্য থেকে দূর পাল্লার কোনো যান ছেড়ে যায়নি। শহরে কোনো প্রকার যানবাহনই চলছে না।
রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাক ভাঙচুর এবং শ্রমিক আহত ঘটনার প্রতিবাদে-এর সুষ্ঠু সমাধান ও ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
রাঙামাটি পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলায় তাদের ১০টি ট্রাক, ৩টি বাস এবং অসংখ্য অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে ৭ জন চালক গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো শহরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
পরিবহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে রাঙামাটি পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরদিন শনিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা প্রদান করা হয়।
এদিকে, হামলার ঘটনার জেরে পাহাড়িরাও শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলার সড়ক ও নৌপথে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। এই অবরোধ কর্মসূচীতে সমর্থন দিয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এদিকে,অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও রাঙামাটিতে থেকে সড়ক ও নৌ পথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধরে মামুন নামে একজন নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের ৫৩ জন আহত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারী করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।