সারা বাংলা

আশুলিয়ায় ফের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঢাকার সাভার শিল্পাঞ্চলে আবারও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে পোশাক শ্রমিকরা। এবার তারা মাসিক বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জিরাবো এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ আন্দোলন করেন।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল থেকে আশুলিয়া বেল্টে নীট এশিয়া, ডেকো, এনভয়, ভিনটেজ, নাসা, সেতারাসহ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কয়েকটি কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে।

শিল্প পুলিশের একটি সুত্র জানায়, শ্রমিক অসন্তোষ শেষে গত সপ্তাহ এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও আজ সকাল থেকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

পুলিশ জানায়, কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সকালে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলেও পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেয়।

সুত্রটি জানায়, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেকোসহ বেশ কয়েকটি কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানায় সুত্রটি। তবে বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো সড়ক অবরোধের তথ্য পাওয়া যায়নি।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘গতকাল নাসা পোশাক কারখানায় সামান্য ঝামেলা হওয়ার পর সেটি বন্ধ ছিল। আজকে কিছু কারখানার শ্রমিকরা কোথা থেকে কী তথ্য পেয়ে বিক্ষোভ করেছে। মূলত ২৫ হাজার টাকার বিষয় না। যেমন মেডলারের (কারখানার) শ্রমিকদের দাবি হচ্ছে মালিক আসে না, কথা বলে না তাদের সঙ্গে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, সেটা তাদের আশ্বস্ত করুক। ভিনটেজের (কারখানার) শ্রমিকদের দাবি, কারখানা খুলে দেওয়া হোক। রোজ (প্রতিদিন) কিছু দাবি মেনে নেওয়ার পর এখন আবারও নতুন দাবি করছে।’ 

তিনি আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে আজ ১৯টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে পোশাক খাতে মজুরির ৫টি গ্রেড কমিয়ে ৪টি করা হয়। তবে গ্রেড ৪-এর নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঠিক রেখে বাকি তিন গ্রেডে বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে গ্রেড ৩-এর মজুরি ১৩ হাজার ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গ্রেড ২-এর মজুরি ১৩ হাজার ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা এবং গ্রেড ১- এর মজুরি ১৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।