নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বন্ধন পরিবহণ দখল নিয়ে বিএনপির স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৮ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাস টার্মিনালে যান চারদলীয় জোট সরকারের আমলে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেবিডের ভাই মাহবুব উল্লাহ তপন ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। তারা যাত্রীবাহী বন্ধন বাসসহ কাউন্টার দখলে নেয়। দুপুরের দিকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা জাকির খানের গ্রুপের লোকজন বাসস্ট্যান্ডে যান। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ।এসময় একজনকে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে।
সংঘর্ষের কারণে কেন্দ্রীয় কাউন্টারে বন্ধ রয়েছে বন্ধন বাসের যাত্রী সেবা। ২ নং রেল গেট, ১ নং রেল গেট এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ আছে। ১ নং রেল গেট থেকে টানবাজার ও বন্দর ঘাট এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখার জন্য বন্ধন পরিবহনের ২ গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সকালে এক গ্রুপের সাথে আলোচনার জন্য বসেছিলাম। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিলো। কিন্তু পরে আরেক গ্রুপ এসে ধাওয়া শুরু করে। পুলিশ এবং সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।