সারা বাংলা

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এনআইডি সেবা আরও সহজ করা হয়েছে: ইউনুস আলী

চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা আরও সহজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর জুবলী রোডস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এতথ্য জানান।

ইউনুছ আলী জানান, রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি নাগরিক যেন ভোটার হতে না পারে সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলা (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) এর সব এলাকাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সেবা আরও সহজীকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এই পরিপত্রের আওতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে এসএসসি বা সমমান অনলাইন সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ এবং বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তাদেরকে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সরাসরি এনআইডি নিবন্ধন দিতে পারবেন। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীর সন্তানরা সরাসরি ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত হবেন। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এসএসসি বা সমমান সনদ না থাকলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ, বাবা মায়ের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই, পার্বত্য অঞ্চলের হলে রাজা কর্তৃক প্রদেয় স্থায়ী বাসিন্দা সনদ প্রয়োজন হবে। তবে যারা এ ও বি ক্যাটাগরির আওতায় পড়বেন না তাদের কার্যক্রম বিশেষ কমিটির মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

ইউনুছ আলী জানান, কোনো সেবার জন্য কোন ফরম কিভাবে পূরণ করতে হয়, কী তথ্য ও কাগজপত্র জমা দিতে হয়- এ রকম নানা তথ্য অনেকেই না জানার কারণে দালালদের খপ্পরে পড়েন। সংশোধন আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় সংশোধন বিলম্বিত হয়। এই বিষয়গুলো সহজ করতে আবেদনের সময় সঠিক কাগজপত্র জমা দিলেই দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।  

চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এনআইডি সেবা সহজীকরণ এবং এনআইডি সংশোধনে সেবা দ্রুততর করতে আমরা সব রকম কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। নির্ধারিত দিন বা সময়ের বাইরেও প্রতিদিন এবং অফিস সময়ের পরেও শুনানি করে আবেদন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। কেউ যেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে এনআইডিতে নাম পরিবর্তন বা তথ্য সংশোধন করতে না পারেন সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে তথ্য যাছাই-বাছাইয়ে কখনো কখনো কিছুটা সময় লেগে যায়। এতে গ্রাহকদের সেবা পেতে বিলম্বিত হতে পারে। তবে, সাধারণত দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের চাহিত সেবা দিতে নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন এবং বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।