সারা বাংলা

আদালতের হাজতখানা থেকে রিমান্ড আসামির পলায়ন

জাল টাকা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এক আসামি শেরপুর আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে জেলা জজ আদালত ভবনের নিচে অবস্থিত হাজতখানা থেকে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার। 

পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রাজু আহমেদ (২৫)। তিনি জেলার নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহাড়ি ও বাকাকুড়া এলাকায় জাল টাকা কেনাবেচা করার সময় পুলিশের কাছে ধরা পড়েন  রাজু আহমেদসহ তিন জন। পরে ঝিনাইগাতী থানায় জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা হয়। সেই মামলায় আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী জিআর আমলী আদালতে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ। 

বিকেল ৪টার দিকে তিন আসামিকে আদালত থেকে কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। আদালত প্রাঙ্গণেই আটক হন শাহিন। এসময় রাজু পালিয়ে যান।

শেরপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রিমান্ড শুনানির পর তিন জনকেই হাজত খানায় আনা হয়। এসময় বয়স্ক আসামি বাবু অসুস্থতার কথা জানান। হাজতখানার দরজার তালা খুলে তার সঙ্গে হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারী কথা বলতে যান। এসময় রাজু আহমেদ ও শাহিন নামে দুজন হাজতখানা থেকে দৌঁড়ে পালান। রাজুর বিরুদ্ধে আলাদা একটা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’