সারা বাংলা

সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর দাফন সম্পন্ন

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদরের হানারচর ইউনিয়নের হানারচর চৌরাস্তা সংলগ্ন গোবিন্দিয়া গ্রামের মৃধা বাড়ি হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর জানাজা অনু‌ষ্ঠিত

শাহাদাত হোসেন শান্ত জানান, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর প্রথম জানাজা বাদ জোহর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ চাঁদপুরে আনা হয়। সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হানারচর চৌরাস্তা সংলগ্ন গোবিন্দিয়া গ্রামের মৃধা বাড়ি হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠে  সন্ধ্যায় তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে গোবিন্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমরা রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি।

জানাজার আগে রহুল আমিন গাজীর ছেলে আদনান আবরার বলেন, আমার বাবা সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করতেন। তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন সবসময় এ কথা বলতেন। আমি গতকাল বাবাকে দেখে অনেক কষ্ট পেয়েছি। কোনোদিন আমার বাবা আমাকে ডাকবেন না। কর্মজীবনে যদি বাবা কোনো ভুল করে থাকেন আপনারা আমার বাবকে ক্ষমা করবেন। 

আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী আর নেই

মরহুমের জানাজায় গণমাধ্যম ব্যাক্তি, রাজনৈতিক নেতারা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 

রুহুল আমিন গাজী কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া, তিনি ব্যাক পেইন, উচ্চ ডায়াবেটিস, লবণ ঘাটতি (ইলেক্ট্রোলাইট) সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। গত সোমবার তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

চাঁদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দিয়ায় রুহুল আমিন গাজীর জন্ম। তার বাবার নাম কফিল উদ্দিন এবং মা আয়েশা খাতুন। তিনি সাংবাদিকদের শীর্ষ স্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) চতুর্থবারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজের মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আমৃত্যু দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার ছিলেন।