সারা বাংলা

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

বন্ধ থাকা করখানা খুলে দেওয়া ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দুই কারখানার শ্রমিকরা। 

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মন্ডল নীটওয়্যার লিমিটেড ও  লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

এদিকে, আজ সকালে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। তবে, নানা কারণে আজও শিল্পাঞ্চলের ১৮৬৩টি শিল্প কারখানার মধ্যে উৎপাদন বন্ধ ছিল ১৬টি কারখানায়। এর মধ্যে, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ ১০টি ও ছয়টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা রয়েছে। বন্ধ ও ছুটি থাকা বেশিরভাগই পোশাক তৈরির কারখানা।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, আজ সকালের দিকে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও কারখানায় শ্রমিক মারধরের অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু করে মন্ডল নীটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা। তারা আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে আবদুল্লাহপুর সড়কের জিরাবো এলাকা অবরোধ করেন। এর জেরে ওই এলাকায় কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

একই এলাকায় সকালের দিকে মজুরি ২২ হাজার ও অপারেটরের ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে লুসাকা গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা। দুপুর দেড়টার দিকে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

মন্ডল নীটওয়্যার লিমিটেডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, মালিকপক্ষ গত বৃহস্পতিবার আমাদের সব দাবি মানা হবে বলে জানায়। আজকে দেখি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। কেন বন্ধ হলো সেই জবাব চাই। এজন্য আমরা সড়ক অবরোধ করেছি।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় মোট ১৬টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও ছয়টিতে সাধারণ ছুটি রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, মন্ডল গার্মেন্টস ও লুসাকা গার্মেন্টসে আন্দোলনের কারণে আধাবেলা কাজ করার পর ১৫-১৬টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে লুসাকা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা হেলপারের ২২ হাজার টাকা মজুরি ও অপারেটরের ২৫ হাজার টাকা বেতন দাবি করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।