সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে তিস্তা চরের শতশত হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামে প্রায় ৪০ কিলোমিটার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর জমির আমন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত সহস্রাধিক পরিবার।

ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যাকবলিতরা। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। বন্যার পানি দীর্ঘায়িত হলে চরের পাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখা গ্রামের আব্দুল বারেক জানান, গত ৩ দিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত রাতে বাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। চলা ফেরা করতে পারছি না। খাওয়া-দাওয়ারও কষ্ট হয়েছে।

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালির মেলা এলাকার কৃষক শামসুল জানান, বন্যায় আমার ২ একর জমির আমন তলিয়ে গেছে। বাদাম ক্ষেতও তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শনিবারের তথ্যানুয়ায়ী জেলায় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল ১শ ৫৯ হেক্টর জমির আমনসহ অন্যান্য ফসল। গতরাত থেকে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববারের তথ্যে নিমজ্জিত জমির পরিমান আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমে আসায় আজকের মধ্যেই নদ-নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।