চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবিতে গুলিতে আহত হন তিনি।
নিহত সাইফুল ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কৌশল্যা এলাকার আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে। তিনি দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল চট্টগ্রামে জ্যাঠার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মারধর ও গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১ মাস ১৫ দিন চিকিৎসার পর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। আজ (সোমবার) সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নিহতের চাচা আমজাদ হোসেন বলেন, পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে সাইফুল বড় ছিল। সে মূলত চট্টগ্রামে জ্যাঠার বাসায় বেড়াতে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন। সেদিন তাকে আওয়ামী লীগের লোকজন বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তী মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।
তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করেও শেষপর্যন্ত ভাতিজাকে বাঁচাতে পারলাম না। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের সবাই বাকরুদ্ধ। আজ দাগনভূঞার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।