সারা বাংলা

মাগুরায় ৫৭ দিন পর কবর থেকে আহাদের লাশ উত্তোলন

মাগুরার মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ বিশ্বাসের (১৭) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ৫৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, নিহত অপর শিক্ষার্থী সুমন শেখের (১৬) লাশ উত্তোলনে করতে গেলে অসম্মতি জানায় পরিবার। ফলে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। 

আদালতের নির্দেশে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুটি লাশ উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।  

নিহত আহাদ সদরের আমিনুর রহমান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সুমন আদর্শ টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মহম্মদপুর থানা ভবনের অদূরে গুলিতে তারা নিহত হন। 

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মহম্মদপুর উপজেলা সদরে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহতের মধ্যে আহাদের বাড়ি উপজেলা সদরের ব্যাপারীপাড়ায় ও সুমন শেখের বাড়ি উপজেলার বালিদিয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আহাদের বাবা মো. ইউনুছ শেখ বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত সুমন শেখের বাবা মো. কানু শেখ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এসব মামলায় অভিযুক্তদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই ছাত্র গুলিতে নিহত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করা হয়েছিল। 

পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশে আজ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য আহাদের লাশ মহম্মদপুর সদরের পূর্বনারায়নপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে মাগুরার মর্গে নেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর সুমন শেখের লাশ উপজেলার বালিদিয়া কবরস্থান থেকে উত্তোলন করতে গেলে তার বাবা মো. কানু শেখ অসম্মতি জানান। ফলে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান। 

সুমন শেখের বাবা মো. কানু শেখ বলেন, ‘আমার ছেলে গণ অভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত হয়েছে। আমি তার লাশ কবর থেকে তুলতে চাই না। এতে আমার ছেলের লাশের অমর্যাদা হবে।’ 

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাশ মন্ডল জানান, হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে। একটি উত্তোলন করা হয়েছে, অপরটি নিহতের বাবার বাধায় উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।