গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর জরুন এলাকায় এসট্রো গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে সালাউদ্দিন, হাবিব এবং বিপ্লব খানসহ প্রায় ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আলম খন্দকারের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
বিএনপি নেতা আহত আলম খন্দকার বলেন, গাজীপুর মহানগরীর কেনাবাড়ি জরুন ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিকে ঝুট ব্যবসা মিলেমিশে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আজ সকালে জরুন বাজারে চায়ের দোকেনে বসে চা পান করার সময় সালাউদ্দিন এবং তার দুই ভাতিজাসহ ৫০-৬০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এসময় অনেকে জখম হন। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
জরুন ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাববিুর রহমান হাবিব বলেন, সালাউদ্দিন জরুনের এসট্রো কারখানার ঝুটের মালামাল আগে থেকে বের করেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ ও তার দলবল নিয়ে হামলা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের অনেকে আহত হয়।
৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান বলেন, এসট্রো কারখানর মালিক সালাউদ্দিনকে ঝুট ব্যবসা দেন। সালাউদ্দিন গত ৫ আগস্টের পর কারখানা থেকে ঝুট বের করছেন। ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজের লোকজন জরুন পেয়ারা বাগান এলাকায় এসে হামলা চালালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা সবাই গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, কোনাবাড়িতে এমন কোনো ঘটনা শুনিনি। আপনারা দেখি আমাদের থেকে ভালো খোঁজ রাখেন। ঝুট ব্যবসা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ পাইনি।