সারা বাংলা

কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় মামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছেলে কাকন হোসেন দৌলতপুর থানায় মামলাটি করেন। 

আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গুলিতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের দাফন সম্পন্ন

বুধবার (২ অক্টোবর) দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্তের স্বার্থে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে রাজি হননি তিনি। 

দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত সেন্টু ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি একই এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে।

আরও পড়ুন: গুলি করে হত্যা: ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সময় সেন্টু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম সরোয়ার জাহানের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠে। পরে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।

আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ পরিষদে গুলি করে হত্যা

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নঈম উদ্দীন সেন্টু। ঘটনার পর চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। এ সময় পুলিশকে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। প্রায় চার ঘণ্টা নঈম উদ্দীন সেন্টুর লাশ কক্ষের মেঝেতেই পড়ে থাকে। পরে র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় বিকেল ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ এলাকায় সেন্টুকে দাফন করা হয়।