লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের দুর্গম খাসিয়ার চরে একটি কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন ৫ মণের কাছাকাছি বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরের মাঝি বাড়ির হাঁস-মুরগির খোড়ায়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলে। সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দারখাল মাছঘাটে নিয়ে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বাড়ির পাশে খালে কুমিরটি ছিল। রাতে হাঁস-মুরগি খেতে উপরে উঠে আসে এবং পরে ধরা পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীর শাখা খালে চার-পাঁচটি কুমির রয়েছে। বন্যার সময় চারিদিকে পানিতে তলিয়ে গেলে নদী থেকে কুমিরগুলো খালে এসে আটকা পড়ে গেছে। ওই খালে মানুষ নামলে কুমির আক্রমণ করছে। বাবলু ও আবু নামে দুজন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একটি গরু কুমিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানান তারা। বর্তমানে খালপাড়ের বাসিন্দারা কুমির আতঙ্কে রয়েছে।
রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন কুমিরটি আটক করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, ‘কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’