খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কাউন্সিলরদের স্থলে নাগরিকদের সেবা দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের নাগরিকত্ব, উত্তরাধিকার, চারিত্রিক, জন্ম ও মৃত্যুসনদ, প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র প্রদান এবং নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রাখবেন তারা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা অপসারিত হওয়ায় খুলনা মহানগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকদের বিভিন্ন সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দিতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৩১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ৩১টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের নাগরিকত্ব, উত্তরাধিকার, চারিত্রিক, জন্ম ও মৃত্যু সনদ এবং প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র প্রদান এবং নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রাখবেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) কেসিসির পৃথক দুটি অফিস আদেশে ওই ৩১ জন কর্মকর্তাকে এসব দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কেসিসির প্রধান নির্বাহী লস্কার তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে খুলনাসহ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করে সরকার। ১৯ আগস্ট অপসারণ করা হয়েছিল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের। এতে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় মেয়র পদে প্রশাসক এবং কাউন্সিলরদের স্থলে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা অর্পিত ওয়ার্ড সমূহের বিন্যাসে দেখা গেছে, ১নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সালেহ পাটোয়ারী, ২নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আজিজুন নাহার বেলা, ৩নং ওয়ার্ডে কঞ্জারভেন্সি কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান, ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মাসুদ করিম, ৫নং ওয়ার্ডে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা, ৬নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ডে বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, ৮নং ওয়ার্ডে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, ৯নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এফ এম ফয়সাল, ১০নং ওয়ার্ডে সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ১১নং ওয়ার্ডে ড্রাফটম্যান আসমাউল হুসনা, ১২নং ওয়ার্ডে কনঞ্জারভেন্সি সুপারভাইজিং ইন্সেপেক্টর মো. জিয়াউর রহমান, ১৩নং ওয়ার্ডে এস্টিমেটর কাজল রানী দাস, ১৪নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম, ১৫নং ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদ মোল্লা, ১৬নং ওয়ার্ডে চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, ১৭নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মীউল ইসলাম, ১৮নং ওয়ার্ডে স্থপতি রেজবিনা খানম, ১৯নং ওয়ার্ডে আইটি ম্যানেজার শেখ হাসান হাসিবুল হক, ২০নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সেলিমুল আজাদ, ২১নং ওয়ার্ডে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অডিট) মুহম্মদ ইমরান হোসেন, ২২নং ওয়ার্ডে কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী, ২৩নং ওয়ার্ডে ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, ২৪নং ওয়ার্ডে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান, ২৫নং ওয়ার্ডে রাজস্ব কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, ২৬নং ওয়ার্ডে সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার আব্দুর রকীব, ২৭নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিত কান্তি ঘোষ, ২৮নং ওয়ার্ডে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (হিসাব) এস এম এ ওয়াদুদ, ২৯নং ওয়ার্ডে চীফ অ্যাসেসর শেখ হাফিজুর রহমান, ৩০নং ওয়ার্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদ এবং ৩১নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) রনি জামিল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের অন্য ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মতো কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফলে গত ৫ দিন কাউন্সিলর ছাড়াই চলছে কেসিসি। এতে থমকে গেছে অনেক ধরনের সেবা কার্যক্রম। সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হলো।