শেরপুরে রাতভর বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মহারশি ও চেল্লাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কয়েক স্থানে নদীর তীর উপচে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে ঝিনাইগাতী বাজার ও বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জেলায় গতকাল রাতে সর্বোচ্চ ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। সারারাত ভারী বৃষ্টির সাথে যুক্ত হয়েছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। এছাড়াও ভোর পাঁচটায় মহারশি নদীর তীর উপচে পানি ঢুকতে শুরু করে ঝিনাইগাতী বাজারে। এরই মধ্যে অন্তত ত্রিশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানায়, জেলার গুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্টের মধ্যে তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদের মধ্যে ভোগাই নদীর নাকুগাও পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭২ সে.মি উপর দিয়ে, ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ি পয়েন্টে ৫৬ সেমি উপর দিয়ে এবং চেল্লাখালি নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২৫ সে.মি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের শেরপুর ব্রিজ পয়েন্টে ৬৫৯ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে জেলার সদর উপজেলার মৃগী নদীর পানি বাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষি ও মাছ চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেলেও সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলা।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, গতকাল রাতের টানা বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাজারসহ অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।